স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল কিন্তু যারা স্বাস্থ্যগতভাবে অনেক চিকন তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন মোটা হওয়ার জন্য আবার যারা মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী তারা চেষ্টা করে চিকন হওয়ার জন্য।
শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়োগ করা কিংবা চিকন যেটাই হোক না কেন অবশ্যই একটা সুস্থ শরীরে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য থাকা উচিত।
তাই এ পর্যায়ে আলোচনা করব অতিরিক্ত চিকন মানুষেরা কিভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে পর্যাপ্ত মোটা হতে পারবেন।
ওজন কম হওয়ার কারণ :
তো প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কী কারণে আমাদের স্বাস্থ্য চিকন হয়ে যায়। যে ধরনের অভ্যাস আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ হলো।
- অনিয়মিত খাদ্যাভাস এর কারণে।
- মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত জীবন যাপন করলে।
- ড্রাগ নেওয়ার কারণে মাঝেমধ্যে চিকন হয়ে যায়।
- টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস থাকলে থাকলে।
- জেনেটিক কারণেও শরীরের ওজন কমে যায়।
- পানি কম খাওরা কারণেও অনেক সময় শরীরে ওজন কমে যায়।
- বিভিন্ন ওষুধের পার্শ প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীর চিকন হয়ে যায়।
চিকন স্বাস্থ্য মোটা করার উপায়
দৈনন্দিন জীবনে কিছু খাদ্যাভাস পরিবর্তন এবং লাইফস্টাইলের পরিবর্তন করার মাধ্যমে নিজেদের চিকন স্বাস্থ্য কিছুটা হলেও মোটা করা সম্ভব।
বার বার খাবার গ্রহণ : যারা অতিরিক্ত চিকন তাদের বেশি বেশি খাবার খেতে হবে এবং এ খাবার অবশ্যই পুষ্টিকর হতে হবে। তারমধ্যে শর্করাজাতীয় খাবার আমাদের শরীরে ওজন বাড়াতে সহায়তা করে তাই প্রত্যেকদিন খাবারে শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমান বেশী রাখতে হবে এই ক্ষেত্রে হাতের পাশাপাশি অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত।
প্রাকৃতিক ফ্যাট যুক্ত খাবার: শুধুমাত্র শর্করাজাতীয় খাবার খেয়ে আমরা নিজেকে মোটা স্বাস্থ্য অধিকারী করতে পারবোনা পাশাপাশি আমাদেরকে ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে তার মধ্যে যে সমস্ত ফ্যাট প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় সেগুলো খেতে হবে বাজারে প্রসেসড ফুড খাবার থেকে কিছুটা বিরত থাকতে হবে কারণ এ এ ধরনের খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি করা হয় বিধায় এখানে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের যথাসম্ভব প্রসেস ফর খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ : আমাদের মাঝে যাদের ওজন বেশি তারা ক্যালরি বার্ন করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করি এবং ব্যায়াম করে থাকি। তবে এক্ষেত্রে যাদের ওজন কম তাদের অবশ্যই এর উল্টা কাজ করতে হবে। বেশি করে ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। দৈনিক কমপক্ষে 500 গ্রাম ক্যালরি যুক্ত খাবার খেলে আপনি মোটা হওয়ার জন্য এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।
প্রোটিনযুক্ত খাবার : প্রোটিনকে পুষ্টি রাজা বলা হয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে আমাদের অবশ্যই প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। প্রাকৃতিক ভাবে প্রোটিন পাওয়া যায় এরকম কিছু খাবার হচ্ছে ডিম ,মাছ ,মাংস, ডাল ইত্যাদি।
পর্যাপ্ত পানি পান করা : শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে বিভিন্ন কারণে আমরা চিকন হয়ে যেতে পারি। এছাড়া পানি খাবার খাওয়ার পর হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। খাবার সঠিকভাবে হজম হলেই আমরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবো এবং পুষ্টিকর উপাদান থেকে নিজের স্বাস্থ্যগত উন্নতি করা সম্ভব।
দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা: সব সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে একজন মানুষ কোনভাবেই সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে পারেনা। স্বাস্থ্যগত বিক্রেতার অনেক অবনতি দেখা দেয়। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে খাবার হজমের সমস্যা হয়। তাই সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করার চেষ্টা করতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে : শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থা ভালো রাখার জন্য আমাদের ঘুমের কোনো বিকল্প নাই। যারা নিয়মিত রাতের বেলা ঘুমায় না তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় শরীর চিকন হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধবে। তাই নিজেকে রোগমুক্ত রাখার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি উন্নতির লক্ষ্যে অবশ্যই রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
সাধারণ ব্যায়াম করা : শুধুমাত্র শরীরের ওজন কমানোর জন্য কি ব্যায়াম করা উচিত এমন কথাটি ঠিক নয়। যারা চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী দৈনন্দিন কার্যক্রম বা ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলেতাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই শারীরি
ক অবস্থা বিবেচনা করে যতটুকু সম্ভব ব্যায়াম করতে হবে।
শরীর সুস্থ্য রাখতে কিছু খাবার : কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো শারীরিকভাবে মোটা রাখতে সহায়তা করে। এই খাবারগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া উচিত।
যেমন , কাঠ বাদাম , কাজু বাদাম , মধু , কালোজিরা , খেজুর ,ডিম, ইত্যাদি।
উপসংহার : একজন সাধারন সুস্থ মানুষ উপরোক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তবে যারা বিভিন্ন রোগে ভুগতেছেন অথবা কোন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শারীরিক অবস্থা চিকন হয়ে গেছে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শারীরিক অবস্থা উন্নতির চেষ্টা করবেন।